Subscribe For Free Updates!

We'll not spam mate! We promise.

ডায়রিয়া প্রতিরোধে করণীয়


প্রতি বছরই এ সময়টায় ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়। এবারো তা-ই হয়েছে। অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে হাসপাতালের আঙ্গিনায় অস্হায়ী ক্যাম্প করে রোগী ভর্তি করা হচ্ছে। প্রতিদিন শত শত মতো নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছে। পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি অন্যান্য হাসপাতালেও রোগী ভর্তি হচ্ছে। এসব রোগীর অধিকাংশই দরিদ্র শ্রেণীর। তাদের পক্ষে সবসময় বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করা সম্ভবও হয় না। পত্রপত্রিকায় দেখা যায়, ঢাকা শহরের অনেক অঞ্চলে ওয়াসার পানিতেও ময়লা ও দুর্গন্ধ থাকে। তদুপরি উৎপাদনের ঘাটতি, বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও অন্যান্য কারণে ওয়াসার পানির সরবরাহও সবসময় থাকে না। এসব ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা পানি ভালোভাবে ফুটিয়ে পান করার জন্য পরামর্শ দেন।
কিন্তু দরিদ্র মানুষের পক্ষে অনেক সময় ফুটানো পানি পান করাও সম্ভব হয় না। প্রচন্ড গরমে তৃষ্ণার্ত অবস্হায় তারা রাস্তাঘাটের দোকান বা হোটেল-রেস্তোরাঁয় গিয়ে পানি পান করে। অনেক ক্ষেত্রেই এসব পানি জীবাণুযুক্ত থাকে। শুধু বিশুদ্ধ পানি পান করাই নয়, খাবার তৈরিতে ব্যবহৃত পানিও বিশুদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। রাস্তাঘাটে শরবত ও অন্যান্য খাবারে ব্যবহৃত পানিও সাধারণত বিশুদ্ধ হয় না। খাওয়ার আগে হাত ও থালাবাসন ভালো করে বিশুদ্ধ পানিতে ধোয়া, রাস্তাঘাটের খোলা খাবার না খাওয়া, পানি ফুটানো না গেলে বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বা ফিটকিরি দিয়ে বিশুদ্ধ করে নেয়াসহ ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা খুবই জরুরি। কেউ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ হচ্ছে, দ্রুত তাকে খাওয়ার স্যালাইন দিতে হবে, যাতে শরীরে পানিশুন্যতা সৃষ্টি না হয়। একইসঙ্গে স্বাভাবিক খাবার খেতে দিতে হবে। তারপরও পাতলা পায়খানা বন্ধ না হলে কিংবা রোগীর অবস্হা খারাপ হতে থাকলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। ডায়রিয়া থেকে রক্ষা পাওয়ার প্রধান উপায় হলো, সবসময় বিশুদ্ধ পানি পান ও ব্যবহার করা। ওয়াসার পানিতে ময়লা থাকা রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতারই পরিচয় বহন করে।

Socializer Widget By Blogger Yard
SOCIALIZE IT →
FOLLOW US →
SHARE IT →