Subscribe For Free Updates!

We'll not spam mate! We promise.

ঋতুস্রাব শুরু হবার পূর্ববর্তী লক্ষণ!

কৈশোর থেকে পরিপূর্ণ নারী হয়ে ওঠার জন্য শরীরের ভেতরে ও বাইরে ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সের মেয়েদের বিভিন্ন রকম পরিবর্তন হয়। অনেক পরিবর্তনের অন্যতম একটি হলো রজঃস্রাব বা ঋতুস্রাব, যা সাধারণত মাসে মাসে হয়—তাই এটাকে মাসিক বা পিরিয়ড অথবা সাইকেলও বলা হয়।

লক্ষণ ও উপসর্গঃ
১. স্তনের ফুলে ওঠা এবং স্পর্শকাতরতা স্পর্শে ব্যথা লাগা।
২. মাথা ব্যথা।
৩. মাথা ঘোরা।
৪. অবসাদ।
৫. যৌন মিলনের আকাঙ্খায় হন্সাস কিংবা বৃদ্ধি।
৬. খাবারের প্রতি তীব্র আগ্রহ।
৭. গ্যাস হওয়া বা ঢেকুর তোলা এবং ওজন বৃদ্ধি।
৮. একনি হওয়া।
৯. মেজাজের পরিবর্তন, বিরক্তিভাব বেড়ে যাওয়া, অস্থিরতা এবং বিষাদগ্রস্ততা।
১০. ডায়রিয়া কিংবা কোষ্ঠকাঠিণ্য।

কি করা উচিত?
১. লবন, চিনি, ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় যেমন চা, কফি, এবং দুধ দিয়ে তৈরি খাবার ইত্যাদি ঋতুস্রাব হবার এক সপ্তাহ আগে থেকেই বর্জন করে চলুন।
২. আপনার যদি মদ পানের অভ্যাস থাকে সেক্ষেত্রে ঋতুস্রাব হবার এক সপ্তাহ আগে থেকে সেটা বর্জন করুন। মদ পানের দরুন আপনার মাথা ব্যথা, অবসাদ এবং বিষাদগ্রস্ততার তীব্রতা বেড়ে যেতে পারে।
৩. অল্প অল্প করে একটু পর পর আহার করুন যাতে করে শরীরে রক্তের সাথে চিনির পরিমাণের খুব বেশি ঘাটতি না হয় এবং হঠাৎ করে শরীরে শক্তির হন্সাস না হয়।
৪. ঋতুস্রাব হবার এক সপ্তাহ আগে থেকে প্রতিদিন বেশি করে ঘুমান এবং নিজেকে আরাম দেবার জন্যে বেশি সময় নিয়ে স্নানও করতে পারেন।

কখন ডাক্তার দেখাবেন?
১. যদি উপরোক্ত পরামর্শগুলো পালন করার পরও লক্ষণগুলো আপনার দৈনন্দিন স্বাভাবিক কার্যকলাপ এবং সম্পর্কগুলোতে ক্ষতিকর প্রভাব রাখতে থাকে।

কীভাবে প্রতিরোধ করবেন?
যদিও পিএমএস এর লক্ষণগুলোর প্রতিরোধ করার মতো তেমন কোন বিশেষ ব্যবস্থা নেই, তবে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো মেনে চললে এই লক্ষণগুলো আপনার দৈনন্দিন কাজ কর্মে বাধার সৃষ্টি করতে পারবে না:-

১. যেসব খাবারের মধ্যে জটিল শর্করা রয়েছে যেমন (আলু, রুটি কিংবা পাসটা ইত্যাদি)।
২. আপনার উপর মানসিক কিংবা শারীরিক চাপ থাকলে নিজেকে চাপ মুক্ত রাখার চেষ্টা করুন। যোগ ব্যায়াম কিংবা ধ্যান চর্চা করতে পারেন।
৩. প্রতিদিন শরীর চর্চা করুন।
৪. যদি আপনার ধুমপানের অভ্যাস থাকে, পরিত্যাগ করুন।

আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।

Socializer Widget By Blogger Yard
SOCIALIZE IT →
FOLLOW US →
SHARE IT →