Subscribe For Free Updates!

We'll not spam mate! We promise.

গরমে কোমল পানীয় ক্ষতিকর?


আজকাল কোথাও বেড়াতে কিংবা পার্টিতে গেলে যেন কোমল পানীয় ছাড়া চলেই না। কি বন্ধুর আড্ডা, পার্টি, পিকনিক সবখানে কোমল পানীয়ের ছড়াছড়ি, আর বাচ্চাদের অনুষ্ঠানগুলোতে এছাড়া ভাবাই যায় না। প্রচন্ত গরমে একটু তৃষ্ণা মেটাতে চাই এক চুমুক কুল ঠাণ্ডা পানীয়। আর আজকাল কোম্পানীগুলোও বিভিন্ন রঙ্গে, ঢঙ্গে তৈরি করছে বিভিন্ন পানীয়। আবার দেখা যায়, কাঁচামাল একই শুধুমাত্র একটু রং অথবা ফ্লেভার পাল্টিয়ে অন্যনামে মার্কেটে ছেড়ে দিচ্ছে একই পণ্য। এ যেন নতুন বোতলে পুরনো শিরকা। তারপরও বিশ্বজুড়ে আজ কোমল পানীয়ের জনপ্রিয়তা দিনে দিনে ব্যাপকতা লাভ করছে।
কোমল পানীয়ের উৎপাদন ও ব্যবহার অনেক পূর্বে শুরু হলেও আজ অবধি এর ক্ষতিকারক প্রভাব নিয়ে গবেষণার পরিমাণ খুবই কম। কিন্তু গত একদশক থেকে এর ব্যবহার প্রচুর পরিমাণে বেড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন পুষ্টি বিজ্ঞানী, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও খাদ্য সংস্থা এবং ঘদম এর টনক নড়েছে। পরীক্ষায় দেখা যায়, ৫০০ গ্রামের কৌটাগুলো কার্বন, ১৭০ ক্যালরি সোডা এবং ১৫ চা চামচ চিনি ব্যবহার করে থাকে। যা শিশুর শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। বিষণ্নতা সৃষ্টি করছে তরুণদের মনে। অন্য এক গবেষণায় দেখা যায়, দিনে ১/২টা কোমল পানীয় গ্রহণ করার ফলে নিম্নোক্ত রোগগুলোতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। তা হল বিষণ্নতা, ডায়াবেটিস, হার্টের অসুখ, দাঁতের ক্ষয়রোগ। ইনসুলিনের আবিষ্কারক ডাঃ চার্লস বেস্ট এর মতে, ‘যে সকল লোক অত্যধিক কোমল পানীয় গ্রহণ করে থাকে তাদেরও লিভার সিরোসিস হওয়ার সম্ভাবনা তাদের সমপরিমাণ যারা দীর্ঘদিন যাবৎ উচ্চমাত্রায় অ্যালকোহল গ্রহণ করে থাকে। আর সিরোসিসের একমাত্র চিকিৎসা হল লিভার ট্রান্সপ্লান্ট’। এছাড়া আধুনিক বিভিন্ন কোম্পানীর পানীয়ের মধ্যে যে সকল উপাদান থাকে সেগুলো এবং তাদের প্রতিক্রিয়া হলঃ
এসিডের মাত্রাতিরিক্ততাাঃ কোমাল পানীয় অধিক যদ বহন করেও থাকে। যা পরিপাকতন্ত্রের খাদ্য হজমে বাধা সৃষ্টি করে। ফসফরাসের অভাবঃ অতিরিক্ত ফসফরাস স্টোমাকের হাইড্রলিক এসিডের সাথে বিষক্রিয়া সৃষ্টি করে ও পেট ফাঁপা ভাব সৃষ্টি করে।
ক্যাফেইনের অত্যধিকতাঃ কোমল পানিতে ক্যাফেইন ব্যবহারের ফলে তা গ্রহণকারীর উদ্বিগ্নতা, নার্ভাসনেস এবং সন্তান জন্মদানে অক্ষমতা দেখা দেয়।
শরীরে অক্সিজেনের হ্রাস পাওয়াঃ ডাঃ ফ্রান্সিসকো কন্টারাইজ নামক আমেরিকার একজন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ বলেন, ক্যান্সার হল একটি বৃক্ষের ন্যায় আর অক্সিজেনবিহীন টিস্যু সেল হল এর পৃষ্ঠপোষক। তাই অত্যধিক কোমল পানীয় গ্রহণের ফলে শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায়। যার ফলে ক্যান্সারের সম্ভাবনা বহুগুণে বৃদ্ধি পায়।
দাঁতের ক্ষয়রোগ সৃষ্টিতেঃ কোমল পানীয় দাঁতের ক্ষয় রোগ সৃষ্টি করে। মাঁঢ়িকে দুর্বল করে তোলে। এর প্রভাবে ডেন্টাল ক্যারিজ বা দাঁত ক্ষয় রোগ দেখা দেয়।
আজকাল রাস্তাঘাটে ফুটপাতে ফেরি করে ও ঠাণ্ডা কোমল পানীয় চটকদার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়। অনেক সময় সপরিবারে বাচ্চা নিয়ে বেড়াতে গেলে প্রিয় সন্তানের চাপাচাপিতে বাচ্চাকে একটি কোমল পানীয় কিনে দিচ্ছেন মাতা-পিতা। কিন্তু এর সাথে দিয়ে দিচ্ছেন একটি নীরব ঘাতক ব্যাধির সম্ভাবনা। তাই এই গরমে কোমল পানীয় গ্রহণে সবাইকে খুবই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। প্রয়োজনে পানিশূন্যতার জন্য নেয়া যেতে পারে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানীর গস্নুকোজ যুক্ত স্যালাইন। যা শরীরের লবণ-পানি হ্রাসের শূন্যস্থান পূরণ করতে পারে। দিতে পারে বাড়তি কর্মচঞ্চলতা।

Socializer Widget By Blogger Yard
SOCIALIZE IT →
FOLLOW US →
SHARE IT →