Subscribe For Free Updates!

We'll not spam mate! We promise.

বাচ্চা নেয়ার চিন্তা-ভাবনা করছেন, এমন অবস্থাতে আপনার কিছু প্রিপারেশন এর প্রয়োজন আছে। সেইসব প্রিপারেশন নিয়েই এই পোস্ট।

☞আপনার বয়স অবশ্যই ১৮ এর বেশী হওয়া উচিত।

☞আগে একটি বাচ্চা থাকলে, নতুন বাচ্চা নেওয়ার জন্য অন্তত দুই বছর বিরতি নিন।

☞চিকিৎসক দেখিয়ে প্রয়োজনীয় চেক আপ করে নিন। আপনার কোন দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতা থাকলে তাকে জানাতে ভুলবেন না। কোন রোগের জন্য কি কি চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন, কি কি ওষুধ গ্রহণ করেছেন- সব ডাক্তার কে জানান। এতে আপনি গর্ভকালীন সময়ে অনেক বেশী নিরাপদ থাকবেন।

☞যে কোন বংশগত রোগের কথা ডাক্তার কে জানান। বিশেষ করে আপনার নিকটত্মীয় দের মধ্যে কেউ প্রতিবন্ধী থাকলে অবশ্যই তা জানাবেন। অনেক ক্ষেত্রেই প্রতিবন্ধী বাচ্চা হয় জেনেটিক ত্রুটির কারনে। আপনি কোন ত্রুটিপূর্ণ জীন বহন করছেন কিনা তা গর্ভধারণের পূর্বে অবশ্যই জানুন। বাচ্চার পিতার নিকটত্মীয় দের মধ্যে কেউ প্রতিবন্ধী থাকলে, পিতারও জেনেটিক টেস্টিং এর প্রয়োজন হতে পারে।

☞আপনার পূর্বের কয়টি বাচ্চা আছে, কখনো গর্ভপাত হয়েছে কিনা, পূর্বে কোন মৃত বাচ্চা, জমজ বাচ্চা হয়েছিলো কিনা, বাচ্চাদের ওজন কত ছিলো, তাদের জন্মগ্রহণের পদ্ধতি কি ছিলো- সব ডাক্তার কে জানান।

☞সুষম খাদ্য (সবুজ শাক-সব্জী, চর্বিহীন আমিষ এবং আঁশ জাতীয় খাবার) গ্রহণের অভ্যাস গড়ে তুলুন।

☞ফলিক এসিড গ্রহণ শুরু করুন এটি শিশুর প্রথম দিককার কিছু জন্মগত ত্রুটি (যেমন ভ্রুনের Spina Bifida বা নিউরাল টিউবের ত্রুটি) হওয়াকে প্রতিরোধ করে। গর্ভধারণের তিনমাস আগে থেকে ফলেট ট্যাবলেট গ্রহণ শুরু করতে পারেন। বাজারে যেসব প্রন্যাটাল মাল্টিভিটামিন এ ফলেট আছে, সেগুলো ও গ্রহণ করতে পারেন। তাছাড়া স্পিনাচ, ব্রকলি, ডিম, কমলা, জাম্বুরা তেও ফলিক এসিড থাকে।

☞ভিটামিন এ অতিরিক্ত গ্রহণে শিশুর কিছু সমস্যা হতে পারে। সাধারন খাদ্যভাসে অতিরিক্ত ভিটামিন এ গ্রহণের সম্ভাবনা নেই। মাল্টি ভিটামিনে ভিটামিন এ থাকলেও তা কম পরিমাণেই থাকে। পূর্ণবয়স্ক মানুষের সাপ্তাহিক ভিটামিন এ গ্রহণের নিরাপদ মাত্রা প্রায় ২৫০০ IU. এতটুকু মেপে মাল্টি ভিট খেলে আর সাধারণ খাদ্যাভাস থাকলে আর ভয় নেই।

☞আপনি ধূমপায়ী হলে এই মুহূর্তে বর্জন করুন। ধূমপায়ী মায়ের ectopic pregnancy এর সম্ভাবনা বেশী। এই অবস্থায় শিশু, জরায়ুর বাইরে ফেলোপিয়ান টিউব এ অবস্থান করে। ফলে গর্ভপাতের পাশাপাশি মায়ের ও অভ্যন্তরীন রক্তপাতের মাধ্যমে মৃত্যু ঝুকি বেড়ে যায়।

☞গর্ভধারণের আগে ডেন্টিস্ট দেখিয়ে নিন। কারণ গর্ভবস্থায় আপনার দাত বা মাড়ীর সমস্যা হতে পারে যখন আপনার পক্ষে সাধারণ চিকিৎসা নেওয়া ঠিক হবে না। তাই আগেই চিকিৎসা নিয়ে রাখুন।

☞ক্যাফেইন গ্রহণে গর্ভধারণে সমস্যা হয় কিনা তা এখনো বিতর্কিত। অনেকে বলে যে ক্যাফেইন মাসিক ঋতুস্রাব অনিয়মিত করে দেয় ফলে গর্ভধারণে বিলম্ব হয়। উচ্চ ক্যাফেইন যুক্ত খাবারের মধ্যে আছে কোক, কফি, এনার্জি ড্রিঙ্কস আর মিল্ক চকোলেট।

☞রক্তের গ্রুপ জেনে রাখুন যেনো জরুরী প্রয়োজনে কাজে লাগে। তাছাড়া আপনার রক্তের গ্রুপ নেগেটিভ ও বাচ্চার পিতার রক্তের গ্রুপ পজিটিভ হলে কিছু বারতি সতর্কতার প্রয়োজন হয়। আপনার রক্তশূণ্যতা আছে কিনা, তাও পরীখা করে জেনে নিন।

☞আপনার শরীরে হেপাটাইটিস বি, সি, অন্য যৌনবাহিত রোগে বা এইচ আই ভি এর জীবানু আছে কিনা রক্ত পরীক্ষা করে নিশ্চিত হোন। একটি শিশুকে অসুস্থ অবস্থায় পৃথিবীতে আনার চাইতে ভালো যে আগে নিজের চিকিৎসা গ্রহণ পূর্বক সুস্থ শিশুর জন্ম নিশ্চিত করা।

☞আপনার ডায়বেটিস বা প্রেশার আছে কিনা অবশ্যই তা পরীক্ষা করে জেনে নেই। এই ধরণের মায়ের গর্ভবস্থায় প্রয়োজন বারত সতর্কতা।

☞আপনার অতিরিক্ত ওজন থাকলে প্রথমে তা নিয়ন্ত্রন করে এরপর সন্তান গ্রহণের কথা চিন্তা করুন। অতিরিক্ত ওজন ধারীদের অনেক সময় ই অনিয়মিত ঋতুস্রাব হয় ফলে চেষ্টা করেও সন্তান ধারণে বিলম্ব হয়। ওজন কম থাকলেও স্বাভাবিক করার চেষ্টা করুন।

☞গর্ভধারণের কয়েক মাস আগে থেকে আপনার ঋতুচক্র খেয়াল রাখুন। যাদের ঋতুস্রাব নিয়মিত, তারা ঋতুস্রাব শুরুর ১০ থেকে ২০ দিনের মধ্যে নিয়মিত মিলনে গর্ভধারণে সফল হবেন। এর মধ্যে ১২ থেকে ১৬ তম দিনে গর্ভধারণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশী।

Socializer Widget By Blogger Yard
SOCIALIZE IT →
FOLLOW US →
SHARE IT →