Subscribe For Free Updates!

We'll not spam mate! We promise.

ফুসফুসের ক্যান্সার


ক্যান্সারের কোনো উত্তর জানা নেই, সেটা সবাই জানেন। কিন্তু ফুসফুসের ক্যান্সার  প্রতিরোধযোগ্য এটা বলার উদ্দেশ্য হলো-এই রোগের কারণ জানা গেছে। সেটা হলো ধুমপান। ধুমপান পরিহার করলে ফুসফুসে ক্যান্সার  হওয়ার ঝুঁকি অনেক কমে যায়।
ফুসফুসের ক্যান্সার  সত্যিই একটি বিপর্যকর এবং ঘাতক বক্ষব্যাধি। উন্নত দেশগুলোতে ক্যাসারজনিত কারণে মৃত্যুর মাঝে ফুসফুসের ক্যান্সার  উল্লেখযোগ্য স্হান দখল করে আছে। প্রতি বছরই এর সংখ্যা বাড়ছে। এই রোগ চল্লিশ বছরের নিচে সাধারণত হয় না। তবে পুরুষের ক্ষেত্রে সত্তর ঊর্ধ্ব বয়সীদের বেশি হতে দেখা যায়। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হলো, আজকাল মহিলাদের মাঝে এই রোগ বেশ দেখা যায়।
ফুসফুসের ক্যান্সারের কিছু লক্ষণ আছে। যদিও সব লক্ষণ খুব একটা সুনির্দিষ্ট নয়। প্রায় শতকরা ৮০ ভাগ ক্ষেত্রেই কফ ও কাশি থাকে এবং শতকরা ৭০ ভাগ ক্ষেত্রে কাশির সঙ্গে অল্প অল্প কফ যায়। ফুসফুসের ক্যান্সারে যক্ষ্মার মতো হঠাৎ করে গল গল করে রক্ত যায় না। যে ব্যক্তি গত ২০ বছর বা তার অধিক সময় ধরে ধুমপান করছেন তার কাশির সঙ্গে যদি একবারও রক্ত গিয়ে থাকে তবে অবশ্যই সেটা সন্দেহের উদ্রেক করে। আর সন্দেহ দেখা দিলেই চিকিৎসক তখন সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর ব্যাপারে তৎপর হবেন। শতরা ৬০ ভাগ ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। অবশ্য শ্বাসকষ্ট নির্ভর করে ক্যান্সারের আকার এবং ফুসফুসে তার অবস্হানের ওপর। শতকরা ৪০ ভাগ ক্ষেত্রে বুকে ব্যথা দেখা দেয়। বুকে ব্যথা কোনো কোনো ক্ষেত্রে এত তীব্র আকার ধারণ করে যে, চিকিৎসক কোনো ব্যথা নিরোধক ওষুধ ব্যবহার করলেও সে ব্যথা আয়ত্তে আনতে পারেন না।
এই ক’টি সাধারণ লক্ষণ ছাড়াও ক্যান্সার  বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে ভিন্ন জাতীয় লক্ষণ প্রকাশ পেতে থাকে। বাংলাদেশে আশংকাজনক হারে বেড়ে যাচ্ছে ধুমপায়ীর সংখ্যা। প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে কোটি কোটি টাকার সিগারেট এবং বিড়ি। প্রতিদিন অন্তত ১০ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে শুধু ধুমপানের জন্য। বিরাট অংকের এ অর্থ সম্পুর্ণই মানব দেহে কুফল বয়ে আনে। এই ধুমপায়ী মানুষগুলো আক্রান্ত হচ্ছে ক্যান্সারসহ বিভিন্ন জটিল বক্ষব্যাধিতে। এসব রোগে প্রতি ১৩ সেকেন্ডে ১ ব্যক্তির মৃত্যু ঘটছে। বিশ্বস্বাস্হ্য সংস্হার এক জরিপে দেখা যায়, বাংলাদেশে পুরুষ ধুমপায়ীর সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি এবং মহিলা ধুমপায়ীর সংখ্যা অন্তত ৬০ লাখ। এ সংখ্যাটি নিঃসন্দেহে একটা চিন্তার কারণ। মনে রাখতে হবে যারা ধুমপান করেন, তাদের আশপাশে যারা থাকেন, তারাও ধোঁয়ায় আক্রান্ত হন সমানভাবে। এই হিসেবে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ধুমপানের কারণে রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্তের সংখ্যা অন্তত ৭ কোটি মানুষ। একবার এই ঘাতক ব্যাধি দেখা দিলে চিকিৎসা ধীরে ধীরে দুঃসাধ্য হয়ে পড়বে। কারণ সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় করতে যে সময়ের প্রয়োজন পড়ে সে সময়ের মাঝে ক্যান্সার  কোষগুলো ছড়িয়ে পড়ে দেহের বিভিন্ন অঙ্গে। তাই এই প্রতিরোধযোগ্য ঘাতক ব্যাধি সম্পর্কে আজই সতর্ক এবং সচেতন হোন। ধুমপান বর্জন করুন। 

Socializer Widget By Blogger Yard
SOCIALIZE IT →
FOLLOW US →
SHARE IT →