Subscribe For Free Updates!

We'll not spam mate! We promise.

ব্রণের সমস্যা ও চিকিৎসা

সাধারণত ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সী ছেলেমেয়েদের ক্ষেত্রে ব্রণ একটি সাধারণ অসুখ। তবে যে কোনো বয়সেই ব্রণ হতে পারে।

ব্রণ দেখতে বিভিন্ন রকম হতে পারে। যেন ছোট ছোট গোল ফুসকুড়ি, লালচে ছোট ছোট গোটা, আবার পুঁজপুর্ণ বড় বড় চাকাও হতে পারে। ব্রণ টিপলে ভাতের দানার মতো বের হয়ে আসে। অনেকের ব্রণ খুব যন্ত্রণাদায়ক হয়। ব্রণের ফলে ত্বকে ছিদ্র দেখা দিতে পারে। কারো কারো মুখে ব্রণের তীব্রতা বেশি থাকলে তা এবড়োখেবড়ো দেখায়। ব্রণ বেশি টেপটিপি করলে সেখানে কালো দাগ সৃষ্টি হয়। ব্রণের চিকিৎসায় কতজনের কত না আয়োজন। অনেকে অনেক কসমেটিকের বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে তা ব্যবহারও করে থাকে এবং দেখা যায় এসব কসমেটিকস প্রকৃতপক্ষে বাড়িয়ে তুলছে ব্রণের তীব্রতা।

ব্রণ কেন হয়? আমাদের ত্বকে অনেকগুলো ‘সিবাসিয়াস গ্রন্হি’ থাকে, যা থেকে সবসময় ‘সিবাম’ নামক এক ধরনের তৈলাক্ত রস নিঃসৃত হয়। লোমকুপ দিয়ে এই সিবাম বের হয়ে ত্বকে ছড়িয়ে পড়ে বিধায় ত্বকে নরম, মসৃণ ও তৈলাক্ত ভাব আসে। যদি কোনো কারণে ‘সিবাম’-এর নিঃসরণ বৃদ্ধি পায় এবং লোমের গোড়ায় বিদ্যমান ‘কেরাটিন’ (এক ধরনের প্রোটিন জাতীয় পদার্থ) ধুলোবালির সঙ্গে মিশে সেখানকার ছিদ্রপথ বা নির্গমণের পথ বন্ধ করে দেয়। ফলে সিবাম বের হতে না পেরে জমা হয়ে ব্রণ হিসেবে প্রকাশ পায়। 

ব্রণের চিকিৎসা
ষ সব ধরনের প্রসাধনী বর্জন করতে হবে। নখ দিয়ে ব্রণ খোঁটাখুঁটি করা যাবে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্রণ আপনা-আপনি সেরে যায়।

ষ দিনে অন্তত তিনবার ‘নিউট্রাজিনা’ সাবান দিয়ে মুখ ধুতে হবে। অনেকে ব্রণ হলে মুখে সাবান ব্যবহার বন্ধ করে দেন অথচ এ সময়ে সাবান দিয়ে মুখ ধুলে উপকার হয়, কেননা সাবান মুখের তৈলাক্ততা দুর করে এবং লোমকুপ পরিষ্কার রাখে। 

ষ রাতে ঘুমানোর সময় ভালো করে মুখ ধুয়ে শুধু ব্রণগুলোর ওপর পেনক্সিল ২.৫% জেলটি লাগানো যেতে পারে। এটি ব্যবহারে অনেকের চুলকানি বা লালাভ হতে পারে, তবে দু-একদিন জেলটি ব্যবহারের পর ঠিক হয়ে যায়। চুলকানি বা লাল ভাব বেশি হলে ব্যবহার বন্ধ করে দিতে হবে। 

ষ কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে তা দুর করতে হবে। ঝাল-মসলাযুক্ত ও তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। সুষম সহজপাচ্য হালকা খাবার, শাকসবজি, ফলমুল এবং প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। পুষ্টিহীনতায় ভুগলে প্রোটিন ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। 

ষ মাথায় খুশকি থাকলে অ্যান্টিড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করে খুশকি দুর করতে হবে। ব্রণের তীব্রতা বেশি হলে চিকিৎসকের মতামত নিয়ে প্রয়োজনীয় ওষুধ সেবন করতে হবে। 

Socializer Widget By Blogger Yard
SOCIALIZE IT →
FOLLOW US →
SHARE IT →