Subscribe For Free Updates!

We'll not spam mate! We promise.

যৌনতা ও যৌন শিক্ষা যৌনতা ১

অন্যান্য যেকোনো সময়ের চেয়েও সম্প্রতি সারা বিশ্বে অনেক বেশি আলোচিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে সেক্স বা যৌনতা। যৌনতাকে মানুষের মৌলিক চাহিদাও বলা হচ্ছে। কোনো ব্যক্তির সেক্স বা যৌনতা যদি বাধাপ্রাপ্ত হয় তাহলে সেটা ব্যক্তির সৃজনশীলতা, সাবলীলতা এমনকি স্বাস্থ্যবস্থায়ও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
সেক্স বা যৌনতার মানে সঙ্গম এমন ধারণাই পোষণ করেন বেশিরভাগ লোক। এটি অবশ্যই যৌনতা তবে এর সাথেআরো অনেক কিছুর সংমিশ্রণ থাকা প্রয়োজন। সেক্স বা যৌনতাকে অত্যন্ত সংকীর্ণআঙ্গিকে মূল্যায়ন করা হবে যখন যৌনতা বা যৌন সঙ্গমকে পরিপূরক ভাবা হবে। সেক্স বা যৌনতাকে অনেক বেশি বিস্তৃত আঙ্গিকে মূল্যায়ন করেছেনআধুনিক যৌন গবেষক ও সেক্সথেরাপিস্টরা। যৌন বিশেষজ্ঞগণ সেক্স বা যৌনতার ৪টি দিকের কথা উল্লেখ করেছেন। এগুলো হলো -
সম্পর্ক স্থাপনঃ একক কোনো বিষয় নয় যৌনতা। যুগলনির্ভর এটি। সঙ্গী বা সঙ্গিনীর প্রসঙ্গ স্বভাবতই এতে চলে আসে। আপনার সেক্স বা যৌনতাকে অনেক বেশি প্রভাবিত করে আপনি আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সাথে কতটা গভীর সম্পর্ক তৈরি করেছেন সেটিও।
দেহ ধারণাঃ দেহ ধারণা বলতে বোঝায় ব্যক্তি তার নিজের দেহ সম্পর্কে কেমন ধারণা রাখে আর ব্যবহার করে থাকে। কখনই আপনার সেক্স বা যৌনতা যথার্থ হতে পারবে না, আপনার দেহের ব্যাপারে সাবলীল ও সাচ্ছন্দ হতে না পারলে। আপনার মনের মাঝে প্রচলিত নানান ধারণা, সংস্কার, নানান নেতিবাচকতা ঢুকিয়েদিতে পারে।
আত্মসমমান বোধঃ নিজ সম্পর্কে আপনি কেমনটি ভাবেন ? নিজেকে একজন নারীবা পুরুষ হিসাবে কেমন মূল্যায়ন করেন ? যথার্থ দৃষ্টিভঙ্গির জন্য চাই সাবলীল আত্মমর্যাদা বোধ।ব্যক্তির মাঝে এর বিকাশ ওপ্রকাশ ঘটে শৈশবকাল হতে বেড়ে ওঠার সাথে সাথে পরিবার, সমাজ, অঙ্গন, পরিবেশ ও পারিপার্শ্বিকতার মিথস্ক্রিয়ায়।
সামাজিক ভূমিকা পালনঃ যৌনতার প্রকাশ ঘটা চাই সামাজিক অঙ্গনে, কারণ যৌনতা বা সেক্স শুধুমাত্র ব্যক্তি নির্ভর নয়। আপনার সমাজ, পরিবার আপনার কাছে যে ব্যক্তি-আচরণ প্রত্যাশা করে তা কতটা সুষ্ঠভাবে পালন করছেন সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু সেক্স বা যৌনতার ব্যাখ্যা দেন ঠিক এমনিভাবে।
কিশোর-কিশোরীদের যৌন শিক্ষা
প্র্যাকটিনেজ হলো বয়ঃসন্ধিকাল। এসময় দেহে বিকাশ ঘটে সেকেন্ডারি যৌন বৈশিষ্ট্যের। বিকাশের এ সময়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় কিশোর-কিশোরীরা তাদের বন্ধু-বান্ধবদের দ্বারা প্রচন্ড মাত্রায় প্রভাবিত হয় এবং পাশাপাশি বিপরীত সেক্সেরবা লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ জাগে। কিশোর-কিশোরীদের মানসিক বিকাশে এ দৃষ্টিভঙ্গি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মা-বাবা ওঅন্যান্য অভিভাবকদের এ ক্ষেত্রে কিশোর-কিশোরীর সাহায্যে এগিয়ে আসা প্রয়োজন। ঋতুস্রাবের সম্পর্কে কিশোরীদের আগামধারণা দিতে হবে। আর স্বপ্নদোষ ও বীর্যপাত সম্পর্কে কিশোরদের জানাতে হবে সঠিক তথ্য। এ সময় কিশোর-কিশোরীরা অনেককিছুই জানতে চান। এ সময়ে তারা শুধুমাত্র নিজ দেহের পরিবর্তন নিয়ে উৎসাহিত হয় না, বিপরীত লিঙ্গের মাঝে যে পরিবর্তন হচ্ছে সে সম্পর্কেও কৌতূহলী হয়ে ওঠে। বিশেষজ্ঞরা দেখতে পেয়েছেন যে, যখন কিশোর-কিশোরীরা বন্ধু-বান্ধবদের সাথে আলাপ-আলোচনায় নিমগ্ন থাকে, তখন তারা শুধুমাত্রসেক্স বা যৌনতা সম্পর্কে আলাপ-আলোচনাই করে না, পাশাপাশি নিজের, নিজের মা-বাবা তাদের সন্তানের যৌনতার বিকাশ সংশ্লিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি, আশা-প্রত্যাশা ব্যক্ত করে। এর দ্বারা সব কিশোর-কিশোরীরা কমবেশি প্রভাবিত হয়। কাজেই, মা-বাবার মনে থাকা প্রয়োজন কোনো কিশোর-কিশোরীর কোনো প্রশ্নের জবার দানকালে তা কোনো অতিসাধারণ প্রশ্নই হোক না কেনো, সংযত আর সাবধান হওয়া উচিত। কারণ, এ প্রশ্নের সাধারণ জবাবই কোনো কিশোর-কিশোরীর দৃষ্টিভঙ্গি বা মূল্যবোধে পরিবর্তনের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। বিশেষজ্ঞরা গবেষণায় দেখতে পেয়েছেন যে, মা-বাবার যৌন শিক্ষা দেয়ার ব্যাপারে তাদের পুত্র সন্তান অপেক্ষা কন্যা সন্তানদের ক্ষেত্রে অধিকতর সময় ব্যয় করেন, বা দ্বৈত আদর্শ বা দ্বৈত নীতি ইঙ্গিত দেয়।
সেক্স এডুকেশন কৈশোরে স্কুলে ভর্তি হবার আগে শুরু করতে হবে। যদি শুরুটা তখন সম্ভব না হয়, পরেও শুরু করা যায়। আজকেরপ্রজন্ম ও সামাজিক প্রেক্ষাপট অনেকটা পরিবর্তিত। আজকের মা-বাবারা সন্তানদের নিয়ে অনেক বেশি সময় দেন - ভাবেন। প্রতিটি মা-বাবাকেই এমন আদর্শ হবার জন্য সচেষ্ট হওয়া উচিত।
নারী-পুরুষের রাগ মোচন
মেয়েদের রাগ মোচন
মেয়েদের ক্ষেত্রে অর্গাজম বলতে সেই মুহূর্তটিকে বোঝায় যখন সঞ্চিত টান বা মুক্তি লাভকরে। মেয়েদের কাছ থেকে অর্গাজমকালে তাদের অনুভূতির যে বিবরণ পাওয়া যায়, তার মধ্যে প্রচুর রকম-ফের লক্ষ্য করা যায়। মেয়েরা তাদের রাগ মোচনের বর্ণনা প্রসঙ্গে যে বিশেষ ভাষা ব্যবহার করেছে তা হলো -
একটা পূর্ণতার অনুভূতি।
দেহের সর্বত্র একটা কাঁপুনি।
ক্রমবর্ধমান চক্রে একটারপর একটা প্রবাহের সঞ্চালন। যোনি অভ্যন্তরে শিরশির অনুভূতি।
হৃদ সপন্দন ও নাড়ির দ্রুতগামিতা।
জনন প্রদেশ ও তল পেটের সংকোচন।
ভালভা, যোনি ও ক্লাইটোরিসপ্রদেশের সংকোচন ও প্রবাহযুক্ত।
মাঝে মাঝে এই প্রবাহ দেহের অন্যান্য পেশীতে প্রসারিত হয় এবং
রাগ মোচনের সময়ে এমনকি সাধারণভাবে কয়েকবার আপেক্ষত্বক আন্দোলন।
সাধারণত যোনি স্থানীয় সপন্দনের গতি এত জোরালো ওসুসপষ্ট হয় যে মেয়েরা তা নিঃসন্দেহে টের পায়।
আবার সংকোচনের পরিমাণ কখনো কখনো এত ক্ষীণ ও ক্ষণস্থায়ী হয় যে, মেয়েরাতা জানতেই পারেনা।
পুরুষদের তুলনায় তাদের রাগ মোচন ধীরে ধীরে ও ক্রমে ক্রমে শান্ত হয়।
সে কারণে তার স্থিতি কিছুটা দীর্ঘও হয়।
পুরুষ ও নারীর ব্যক্তিগত ইন্দ্রিয়ানুভূতি ও হৃদয়াবেগজনিত প্রগাঢ়তার ওপর নির্ভর করে রাগ মোচনকালে তাদের আবেগজনিতএবং যৌনি অনুভূতি ও আচরনেও নানা রকম তারতম্য ঘটে।
কারো কারো ক্ষেত্রে, ইন্দ্রিয় সুখ অপেক্ষাকৃতস্বল্প।
আবার কারো কারো ক্ষেত্রে তা মানসিক ও শারীরিক উল্লাসের চরম শিখরে ওঠে।
এই দু’টি প্রান্ত সীমার মাঝখানে ইন্দ্রিয়জ প্রতিক্রিয়ার এই তারতম্যের জন্যে মৌলিক গঠনগত প্রভেদ এবং যৌবনে লব্ধ আংশিক দৃষ্টিভঙ্গি উভয়েই দায়ী।
পুরুষের ক্ষেত্রে ক্ষরণ বলতে বোঝায় নারীর জনন পথে।
বীর্যের স্খলন, যা শারীরবৃত্তীয় জনন প্রক্রিয়ার অত্যন্ত জরুরী অঙ্গ বলে অভিহিত।

Socializer Widget By Blogger Yard
SOCIALIZE IT →
FOLLOW US →
SHARE IT →