Subscribe For Free Updates!

We'll not spam mate! We promise.

♥♥মেয়েদের প্রধান যৌনাঙ্গ "যোনি"


ইংরেজিতে একে বলা হয় ‘ভ্যাজিনা’ এটি হল নারীর প্রধান যৌনাঙ্গ। জন্মের পর থেকে বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে নারীর যোনির আকার কিছুটা বৃদ্ধি পেতে থাকে। যোনির দু’পাশে পুরু মাংসের দেয়াল বা সমৃণ ঝিল্লি থাকে এবং যোনির ভেতরে ইংরেজি ‘জি’ অক্ষরের মত আরেকটি অংশ থাকে তাকে জি স্পট বলে। আর এই জি স্পট একটি অত্যন্ত যৌন স্পর্শকাতর স্থান। যোনিতে পুরুষের লিঙ্গ প্রবেশের দ্বারা নারী যৌনমিলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়। পুরুষের লিঙ্গের অনবরত সঞ্চালনকালে যোনির প্রাচীরের সঙ্গে ঘর্ষণের ফলে নারীর কামোত্তেজনা চরমে ওঠে যায় এবং মিলনের সময় রতি সুখের আনন্দে পুলকিত হয়ে নারী রাগ মোচন বা অর্গাজমের চরম সুখের পথে এগিয়ে যায়।

যোনি পথের বাইরের আবরণ মাংসপেশি দিয়ে গঠিত। আর একটি কথা হল, যোনি পথ কিন্তু একেবারে সোজা থাকে না। এটি কিছুটা বাঁকা অবস্থায় থাকে। যোনি পথের অগ্রভাগ থাকে সরু। তবে জরায়ুর মুখের কাছে এটি বেশ চওড়া থাকে অর্থাৎ যোনি মুখ থেকে এই পথ যতই জরায়ুর কাছে অগ্রসর হয় ততই চওড়া হতে থাকে। যোনি পথ লম্বায় প্রায় ৩-৪ ইঞ্চির মত হয়। আর যোনি পথের মাত্র ১ ইঞ্চি গভীরেই রয়েছে বেশি মাত্রায় যোন স্পর্শকাতরতা। যোনির উপরেই থাকে মূত্রনালীর মুখ। যোনির নিচে পেছনের দিকে থাকে মলদ্বার বা র‍্যাকটম এবং পায়ুপথ।

যোনি পথের ভেতরটি বেশ কোমল এবং এর গঠনে ইলাস্টিক বা স্থিতিস্থাপক রবার্টের মত টিসু থাকায় এটি অতিশয় সম্প্রসারণশীল। সমগ্র যোনি পথে লম্বা লম্বা অনেকগুলো খাঁজ বা ভাঁজ থাকে। যোনিপথে বহু খাঁজ বা ভাঁজ থাকার ফলে এটি অতিশয় সম্প্রসারণশীল হওয়ার জন্য প্রয়োজনে যোনিপথ ফাঁক হয়ে অনেকটা প্রসারিত হয়ে লম্বায় ও চওড়ায় বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই এটিকে ইলাস্টিক ক্যানেলও বলা যেতে পারে। আর এই ইলাস্টিক ক্যানেলের ফলে সন্তান প্রসব বা যৌনমিলন বা লিঙ্গ প্রবেশ সহজতর ও আরামদায়ক হয়। নারীর যোনিপথ সর্বদা এক প্রকার তরল রস দ্বারা ভেজা থাকে আর এই রসটি হচ্ছে অ্যাসিডিক। যোনি মধ্যকার এই বিশেষ রস বা এসিড বিদ্যমান থাকায় তা যোনি পথকে ছোট খাট ইনফেকশন বা জীবাণুর সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। যোনি মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই কিছু নিরীহ জীবাণু থাকে। এই জীবাণুর সাথে যোনি গাত্র গ্লাইকোজেনের ক্রিয়ার ফলে সেখানে ল্যাকটিক এসিডের সৃষ্টি হয়। মেয়েদের যৌবনের পূর্বে এবং ঋতু স্রাব ও মেনোপজের পর যোনি বা ভ্যাজাইনাতে এই জীবাণু ও গ্লাইকোজেন খুব কম দেখা যায়। যার ফলে এই সময় যোনি বা ভ্যাজাইনাতে ল্যাকটিক এসিড জন্মাতে পারে না এবং যোনিপথও অম্ল বা এসিডিক থাকে না। তাই এই সময় জনন ইন্দ্রিয়তে জীবাণু সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি থাকে। এছাড়া মেয়েদের ঋতু স্রাব চলাকালীন ও প্রসবের পর কিছুদিন পর্যন্ত যোনির মধ্যে এই স্বাভাবিক অম্ল রসের অভাব থাকে। তাই এই সময় পরিষকার পরিচ্ছন্ন ও সাবধান থাকা উচিত। এছাড়া এই সময় স্বামী সহবাস এড়িয়ে যাওয়াই বাঞ্ছনীয়। নয়ত জনন ইন্দ্রিয়ে সহজেই জীবাণু ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর প্রতিটি যৌনমিলনের পরে যোনি ও পুরুষাঙ্গ ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুলে ফেলা উচিত। যোনির সুস্বাস্থ্যের জন্য সুতির অন্তর্বাস ব্যবহার করা উত্তম।

অনেক মেয়ের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, যৌনমিলনের সময় হঠাৎ হঠাৎ যোনিতে তীব্র ব্যথা পেয়ে যন্ত্রণায় কুঁকড়ে ওঠে পুরুষের লিঙ্গ বড় বলেই যে সে এমন ব্যথা পায় তা কিন্তু নয়। তবে কেন এই ব্যথা?

আসলে অনেক সময় দেখা যায যে, পুরুষ উন্মত্তের মত জোরে জোরে রতিক্রিয়া চালাতে থাকে কোনোরকম শৃঙ্গার বা ফোরপ্লে ছাড়াই। এই বল প্রয়োগের ফলে হঠাৎ জোরে জোরে নারীর কোমল যোনিতে শক্ত লিঙ্গ প্রবেশ করানোর দরুন লিঙ্গের মুখের সঙ্গে যোনির মুখে তীব্র সংঘর্ষ হতে থাকে আর তার ফলেই স্ত্রীরা তাদের ফুলের মত নরম যোনিতে অসহনীয় যন্ত্রণা অনুভব করেন। এখানে বলে রাখি পুরুষের লিঙ্গ যত বড় মাপেরই হোক না কেন নারীর যোনিদেশ তার সবটুকুই অতি সহজেই গ্রহণ করতে পারে। আর এতে স্ত্রীর যোনিতে কোনোরকম ব্যথা হওয়ার কথাও নয়। যদি ফোরপ্লে প্রথম দিকে করে নেয়া হয়ে থাকে যোনির প্রাচীর প্রয়োজনমত সংকুচিত ও প্রসারিত হতে পারে বলে যে কোনো সাইজের যে কোনো আয়তনের লিঙ্গকে যে কোনো যোনি স্বাভাবিকভাবেই গ্রহণ করতে পারে।

এখানে যোনির প্রধান কাজ উল্লেখ করা প্রয়োজন, যোনির প্রধান কাজ তিনটি। আর তা হলঃ-

(১) মাসিক ঋতু স্রাবের সময় ক্লেদাক্ত রক্ত দেহ থেকে বের করে দেয়া,

(২) যৌন সঙ্গম বা মিলনে সক্রিয় অংশ গ্রহণ করা, যৌনমিলন ঘটানো এবং পুরুষের বীর্য গ্রহণ করে গর্ভ সঞ্চার করা,

(৩) সন্তান প্রসব করা।

পাঠকবৃন্দ, আপনারা নিশ্চয়ই জেনেছেন যে, যৌনতা বা সেক্স সম্পর্কে জানতে হলে প্রথমেই মানবদেহের যৌন অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলোর সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান বা সাধারণ এনাটমি জানা অত্যন্ত প্রয়োজন। আর এসব অঙ্গের এনাটমি জেনে রাখলে যৌন অনুভূতি ও সেক্স সম্পর্কে সুন্দর ও সুচারুভাবে বুঝতে পারা সম্ভব হবে। সম্ভব হবে নিজেকে জানার এবং সেই সাথে প্রিয়জনকেও। আর তখনই যৌনতা বা সেক্স হয়ে উঠবে আরো সুখের আরো মধুর-তৃপ্তিকর।

Socializer Widget By Blogger Yard
SOCIALIZE IT →
FOLLOW US →
SHARE IT →